আপনারা আপনাদের মুখের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন সে বিষয়ে আজ আপনাদের কিছু কথা বলব।
বন্ধুরা,
মুখের যত্ন নেওয়ার আগে আপনাকে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হলো অন্যজন যেভাবে তার মুখের যত্ন নেয় সেভাবে আপনি ও কি আপনার মুখের যত্ন নিতে পারবেন কিনা। না ।পারবেন না।
এই না পারার পেছনে অনেক কিছু কারণ রয়েছে ।
১। ত্বকের ভিন্নতা
২।হরমোনজনিত সমস্যা
৩। আমাদের দৈনন্দিন কাজ
বন্ধুরা এই তিনটি বিষয় যদি আমরা খেয়াল রাখি এবং এই তিনটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখো যদি আমরা আমাদের শরীরের সাথে যায় এইরকম উপাদান আমরা আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি, তাহলে খুব সহজে আমরা আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে পারব। তাহলে বন্ধুরা প্রথম যে বিষয়ের উপর আমাদের নজর দিতে হবে সেটি হল ত্বকের ভিন্নতা।
ত্বকের ভিন্নতা
এ কথাটি সবার মুখের ত্বক একরকম হয় না। অনেকের টা একটু তৈলাক্ত হয় আবার অনেকের মুখের ত্বক শুষ্ক হয়।
অনেকের মুখে আবার একটু কালচে রঙের হয়।
প্রতিটা দিক বিচার করে আমাদেরকে মুখের যত্ন নিতে হবে।
বন্ধুরা যাদের মুখের ত্বক শুষ্ক, সে কখনো মুখে চন্দন বা শুকনো উপকরণ মুখে ব্যবহার করতে পারবে না।
যদি সে মুখে এ ধরনের উপাদান ব্যবহার করে তাহলে তার মুখের ত্বক ফেটে যেতে পারে।
আবার মুখের ত্বক যাদের তৈলাক্ত সেই মুখে তৈলাক্ত লোশন বা ক্রিম এই জাতীয় কোন কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না।
হরমোনজনিত সমস্যা
এরপর, যে বিষয়ের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে সেটি হল হরমোনজনিত সমস্যা। ত্বকের সাথে হরমোনের একটা গভীর ভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান।
তাই যেকোনো ধরনের প্রসাধনী মুখের যত্নের জন্য ব্যবহার করার আগে হরমোন জনিত কোন সমস্যা আছে কিনা তা জেনে নিতে হবে।
বন্ধুরা অনেকেরই হরমোনজনিত অনেক সমস্যার রয়ে যায়। যার কারণে অনেকে এক ধরনের উপাদান মুখের জন্য ব্যবহার করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আমাদের দেখতে হবে কোন ধরনের উপাদান আমাদের মুখের জন্য সবচেয়ে মানানসই।
সবশেষে যে বিষয়টি আমাদের নজর দিতে হবে সেটি হলো, আমাদের কাজের ধরন। অর্থাৎ আমরা কোন ধরনের কাজ করি থাকি। আমরা যদি সারাদিন বাইরে থাকি তাহলে এক ভাবে মুখের যত্ন নিতে হবে আর যদি আমরা সারাদিন ঘরের মধ্যে থাকি তাহলে অন্য ভাবে মুখের যত্ন নিতে হবে।
এই সব কথা বলে আমরা একটা বিষয় নিশ্চিত হলাম যে সবাই যেভাবে মুখের যত্ন নেয়, যে সব মানুষ চাইলেও একভাবে মুখের যত্ন নিতে পারে না। এই পেছনের কারণ আমরা জানলাম সেটা হল ভিন্নতা। সবার চেহারা একই রকম না হওয়ার কারন।
তাহলে বন্ধুরা,
এখন আমরা জানবো কিভাবে আমরা আমাদের এই মুখের ত্বকের যত্ন নিতে পারি।
প্রথমে,
আসা যাক কিছু ঘরোয়া উপাদান। যে উপাদান গুলো ব্যবহার করলে সব ধরনের ত্বকের লোকেরা কম বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথমে,
চন্দন ও মুলতানি মাটি
চন্দন এবং মুলতানি মাটি আমাদের ঘরের মধ্যেই থাকে। আর না থাকলে আমাদের সংগ্রহ করে নিতে কষ্ট হয় না। অথবা মুলতানি মাটির সাথে আমরা যদি সামান্য পরিমাণ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগায় তাহলে আমাদের মুখের ত্বকে বয়সের ছাপ কমে আসে।
এটা কিছুক্ষন রেখে পরে আমরা যদি ধুয়ে ফেলি। এবং এরপর যদি আমরা কোন ক্রিম ব্যবহার করি তাহলে এটা আমাদের ত্বককে অনেক বেশি নমনীয় এবং কম বয়সী দেখাবে।
মধু এ দুধ
এটা সবাই ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু একটা সত্যি কথা বলে নেওয়া ভাল, যাদের চেহারা তৈলাক্ত তারা দুধের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারে। এর পরে আমরা ঘরোয়াভাবে আরো বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করতে পারি।
শশা
যেমন আমরা চাইলে শসা ব্যবহার করতে পারি।
ডিম
এরপরে ডিম ব্যবহার করতে পারি। ডিমের কুসুমটা আলাদা করে, ডিমের সাদা অংশটি মুখে লাগাতে পারি।
লেবু
লেবুর সাথে মধু মিক্স করে সাথে অল্প চিনি দিয়ে গলিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে আমরা সেটাও মুখে লাগাতে পারি। এটা মুখের যত্নের জন্য অমুল্য।
কাঁচা হলুদ
একটি প্রসাধনী ক্ষেত্রে বন্ধুরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমরা যদি কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে পারি। সেটা মুখে অনেক বেশি কার্যকরী।
আলু
এরপরে হচ্ছে আমরা যে আলু তরকারি হিসেবে খায়, সেই আলু কে আমরা ব্লেন্ড করে আলু থেকে আলাদা করে নিয়ে সেই রস যদি আমরা আমাদের মুখে এবং হাতে পায়ে লাগায়। আর এটা শুকিয়ে যাওয়ার পরে ধুয়ে ফেলি।
তাহলে আমরা আমাদের শরীরে হঠাৎ একটি এমন একটা পরিবর্তন দেখবো যার জন্য শক্তি আমরা তৈরি থাকবো না।
সত্যি বন্ধুরা,
আমাদের ঘরে এমন অনেক উপাদান আছে, যে সকল ঘরোয়া উপাদান গুলো আমরা ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের অর্থাৎ মুখের যত্নে আমরা খুব ভালোমতো নিতে পারবো।
ধন্যবাদ