বন্ধুরা বর্তমানে অনেকেই নিজের ওজনটা একটু বাড়াতে চায় । এটা শুনে হয়তো অনেকেই হাসবেন। কিন্তু বন্ধুরা এক্ষেত্রে হাসার কোনো কারণ নেই। আপনারা মনে রাখবেন ওজন বাড়া মানে কিন্তু শরীরের ফ্যাট বাড়া নয়।
বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে নিজের শরীরের ওজন বাড়াতে চাইতেই পারে।
এক্ষেত্রে আমাদের আজকের পরিবেশনায় নির্দিষ্ট কতগুলো কারণকে আমরা চিহ্নিত করেছি।
আজকে আমরা ওজন বাড়ার বিষয়ে কথা বলার আগে কেন মানুষ ওজন বাড়াতে চায় সে বিষয়ে একটু আলোকপাত করব।
এক্ষেত্রে আমরা চারটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছি। কেন মানুষ নিজের ওজনটা বাড়াতে চাযইয়েছিএই ক্ষেত্রে ……
প্রথম…
যে বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি, অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে সেটি হলো ,
মানুষের উচ্চতা এবং বয়সের তুলনায় যখন মানুষের ওজন টা কম হয় তখনই মানুষ নিজের ওজনটা বাড়াতে চায়।
দ্বিতীয় ……
যে বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করেছি সেটি হল যখন কোন মানুষ ওজন বাড়ার জন্য কোন একটা ডায়েট চার্ট দীর্ঘদিন ফলো করার পরেও এক্সপেক্টেড রেজাল্ট পায় না তখনই মানুষ চায় নিজের ওজন বাড়াতে।
তৃতীয়……
কারণ হলো অনেক মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরেও ডাইজেশনে কোন প্রবলেম না হওয়ার পরেও নিজেদের ওজন বাড়ে না। এজন্য মানুষ চায় নিজের ওজনটা বাড়াতে
চতুর্থ……
বিষয়টা আমরা অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করি সেটি হল নিয়মানুবর্তিতার সমস্যা ।
অনেকেই কড়াকড়িভাবে ডায়েট ফলো করে ঠিকই, কিন্তু তার কন্সিডেন্সি মেনটেইন করে না। অর্থাৎ নিয়ম ভাবে সেই ডায়েট চার্ট উনারা ফলো করে না।
এই কারণে উনারা উনাদের প্রত্যাশিত রেজাল্ট পায় না। এই কারণে উনারা হতাশ হয়ে পড়ে। আর এই জন্যই উনারা উনাদের ওজন বাড়াতে চায়।
এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের যে চারটি বিষয়ের কথা বলেছিলাম তা শেষ হল।
আপনারা যারা আমাদের চারিপাশে আমাদের পরিবেশে আছেন তাদের মধ্যে এই সমস্যা গুলোর কোন একটা না একটা অবশ্যই আছে। যার কারনে আপনারা আপনাদের ওজনটা বাড়াতে পারছেন না ।
এখন আমরা এই চারটা বিষয়ের সমাধান খুব ভালোভাবে আপনাদের দিব। আপনারা আপনাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন ,তারপর প্রতিটা সমস্যা অনুসারে আমরা যে সমাধান দিব সে সমাধান গুলো আপনারা ফলো করবেন । ইনশাল্লাহ আপনাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এখন আসা যাক সমাধানে।
প্রথম…
যে সমস্যাটা আমরা তুলে ধরেছি সেটি হলো মানুষের উচ্চতা এবং বয়সের তুলনায় কতটুকু ওয়েট বা ওজন দরকার ।
আমরা সিভিল সোসাইটি তে বসবাস করেও , টেকনোলজি এত আপডেট হওয়ার পরে ও , আমাদের এই বিষয়ে স্পষ্ট একটা ধারণা নেই যে কতটুকু উচ্চতা এবং বয়সের জন্য ঠিক কতটুকু ওজন আমাদের দরকার।
তাই বন্ধুদের জন্য এক্ষেত্রে আমার যে সলিউশন টা নিয়ে এসেছি সেটা হলো আপনারা যে কোন একটি চার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে যেমন গুগল, গুগল ক্রোম্ গিয়ে খুব সহজে এই বিষয়টির সমাধান পেতে পারেন।
দ্বিতীয়…
যে সমস্যাটা আমরা চিহ্নিত করেছিলাম সেটি হলো
কোন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কোন একটা ডায়েট চার্ট ফলো করার পরেও যখন উনাদের এক্সপেক্টেড রেজাল্ট ওনারা পায় না তখন উনারা হতাশ হয়ে পড়েন। এর পিছনে যে সমাধানটা আমরা দিব সেটা আপনারা মিলিয়ে দেখবেন। আর সেটি হল আপনারা আপনাদের নিয়মিত করা ডায়েট চার্ট আরেকদিন ভালোভাবে ফলো করবেন যেখানে আপনারা তিনটি বিষয়ের উপস্থিতি ভালোমতো আছে কিনা দেখবেন।
একটা সাউন্ড ডায়েট চার্ট এর তিনটি বিষয়ের উপস্থিতি মেন্ডেটরি। আর এ তিনটি বিষয় হল প্রথমত সুষম খাবার, দ্বিতীয় নাম্বার হল এক্সারসাইজ তৃতীয় নাম্বার হল ঘুম।
খাবারের ক্ষেত্রে ডায়েট চার্টে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। ডায়েট চার্টে যেখানে সবচেয়ে বড় ভুলগুলো করে থাকে মানুষ, সেটা হলো এক্সারসাইজ এবং ঘুম ।
ঘুম বলতে অনেকে কিন্তু সাউন্ড স্লিপ কাকে বলে সেটা বোঝে না । একটা প্রপার ডায়েট চার্ট যারা ফলো করবে তাদের অবশ্যই সাত থেকে আট ঘণ্টা সাউন্ড স্লিপ এর দরকার। অর্থাৎ টেনশন দূর করে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দিতে হবে।
এরকম হবেনা আপনি 2 ঘণ্টা ঘুমান তারপর উঠে গেলেন। এরপর আবার 2 ঘন্টা ঘুমালেন । এভাবে যদি আপনি 10 ঘণ্টা ও ঘুমান, সেটাকে আমরা সাউন্ড স্লিপ বলবনা । এইজন্য আপনাকে করতে হবে সাত থেকে আট ঘণ্টা টেনশন ফ্রি হয়ে ঘুম দিতে।
দ্বিতীয়…
নাম্বার যে বিষয়টি ছিল সেটি হলো এক্সারসাইজ।
একটা সাউন্ড ডায়েট চার্ট এর দ্বিতীয় নাম্বার যে কন্ডিশন। সেটি হল এক্সারসাইজ। ডেইলি আপনাকে আপনার এক্সারসাইজ করতে হবে কারণ যত ভালোভাবে আপনি ডায়েট করুন না কেন, সাউন্ড স্লিপ আর ব্যায়াম যদি আপনি না করেন আপনি কখনোই আপনার এক্সপেক্টেড রেজাল্ট পাবেন না।
তৃতীয়……
বেশিরভাগ মানুষের যে সমস্যাটি হয়ে থাকে সেটি হলো অনেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরেও ডাইজেশন এ কোন সমস্যা না হওয়ার পরেও উনাদের ওয়েট বাড়ে না।
এক্ষেত্রে যে সমাধানটা আমি আজকে আপনাদের দিব সেটি হল সুষম খাদ্য। আপনারা যে খাবার খান সেটা অবশ্যই খাবার কিন্তু সেটা কি সুষম খাবার কিনা সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। খাবারকে সুষম করতে হলে খাবারের মধ্যে তিনটি বিষয়ের সামঞ্জস্যতা খুব দরকার।
একটি হলো… শর্করা । দ্বিতীয় টি হল প্রোটিন ।আর তৃতীয় টি হল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া।
শর্করাঃ
শর্করার কথা আমি এখানে বাদ দিব। কারণ যে কোন খাবারের ক্ষেত্রে শর্করার উপস্থিতি থেকেই থাকে। তাই যেকোনো ডায়েট চার্টে শর্করার যে অনুপস্থিতির কারণে আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটবে সেটা আমি বলবো না। কারণ শর্করার মাত্রা সব ধরনের খাবারে উপস্থিত থাকে।
প্রোটিনঃ
এই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় নাম্বার হল প্রোটিন। প্রোটিন ও আমাদের চারিপাশে খাবারের মধ্যে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পেয়ে থাকি। আমি এক্ষেত্রে যে বিষয়টি কথা বলতেছি সেটি হল হেলদি। হেলদি কোন কোন খাবারে থাকে সেটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। যেমনঃ বাদাম, কাজু বাদাম , কিশমিশ এ জাতীয় খাবারে ফ্যাট থাকে।
আমাদের স্বাভাবিক খাবারে প্রোটিন এবং শর্করার মাত্রা থাকে কিন্তু হেলদি ফ্যাটের মাত্রা থাকেনা। যে কারণে খাবার যেটা আমরা খাই সেটা খাবার হলেও সেটা সুষম খাবার নয় যার কারণে পর্যাপ্ত খাবার নিলেও আমাদের মধ্যে সুষম খাবারের অভাবে আমাদের ওজন বাড়াতে সমস্যা হয়।
তাই এখন বন্ধুদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ আমি যেসব বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি সেটা সবার মধ্যে একটা-না-একটা উপস্থিত আছে। তাই বন্ধুরা আমার দেওয়া প্রত্যেকটি বিষয়ের মধ্যে আপনার কোনটাতে সমস্যা সেটা চিহ্নিত করেন ।
আর তা অনুসারে যে সমাধানটা আমি দিয়েছি সেটা ফলো করুন। আপনারা যদি আমার সমাধানটি ভালোমতো ফলো করতে পারেন ইনশাল্লাহ এক মাসের মধ্যে আপনারা আপনাদের শরীরের 3 থেকে 4 কেজি ওজন বাড়াতে পারবেন । ধন্যবাদ।