কোন খাবার গুলো খেলে আপনার শরীরে জিংকের অভাব হয় না
জিঙ্ক আমাদের দেহের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।যে জাতীয় খাবারে জিংক, কিন্তু এই জিংক উপাদানটি কিন্তু শরীরে আপনা আপনি উৎপাদন বা জমা থাকে না। তাই অতিগুরুত্বপূর্ন এই উপাদানটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে শরীরে নিতে হয়। কিন্তু এই উপাদান আবার সব ধরনের খাবারে পাওয়া যায় না। যে জাতীয় খাবারে জিংক তাই আপনাকে দেখে শুনে যে খাবার গুলোতে জিংক এর উপাদান রয়েছে সেই খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। তাহলে আমরা শারীরিকভাবে অনেক সুস্থ্য থাকবে কারণ এই জিংক উপাদানটি শরীরের গঠনের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন্য। যেসকল কারনের জন্য আপনি জিংক সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাবেন তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- শরীরে জিংকের অভাব হলে বংশবিস্তারে ব্যঘাত ঘটে ।
- এনজাইমেটিক প্রতিক্রিয়ার জন্য জিংক উপাদানটি প্রয়োজন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জিংক জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- প্রোটিন সংশ্লেষণ করতে জিংক প্রয়োজন ।
- ডিএনএ সংশ্লেষণ করতে জিংক দরকার।
- ক্ষত নিরাময়ে জিংকের প্রয়োজন রছেছে।
- বাচ্চাদের বৃদ্ধি এবং বেড়ে ওঠার জন্য জিংকের ভুমিকা অনেক।
এই জিঙ্ক সাধারনত উদ্ভিদ এবং প্রাণী দেহ থেকে সংগ্রহ করা যায়। যেসব খাবারে সাধারনত এই খনিজটি থাকে না সেগুলো হলো, সিরিয়াল বা কর্নফ্লেক্স, স্ন্যাক বার, বেকিং ময়দা ইত্যাদি এগুলোতে ব্যবহার করা হয় সিন্থেটিক জিঙ্ক। আপনি ইচ্ছা করলে জিংকের অভাব পুরনের জন্য জিংক টেবলেট খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে আপনার শরীরে এর ঘাটতি পুরন হবে।
শরীরে জিঙ্কের ভূমিকা: জিঙ্ক আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া দ্বিতীয় খনিজ, যেটা আয়রনের পর প্রতিটি কোষে উপস্থিত থাকে। ৩০০টির বেশি এনজাইমের কার্যকলাপের জন্য জিঙ্ক প্রয়োজন, যা বিপাক, হজম, স্নায়ু ফাংশন এবং অন্যান্য অনেক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কোষগুলোর বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই খনিজটি ত্বকের স্বাস্থ্য, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং প্রোটিন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন। দেহের বৃদ্ধি এবং বিকাশ জিঙ্কের ওপর নির্ভর করে। কারণ কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজনে এর ভূমিকা রয়েছে । আপনার স্বাদ এবং গন্ধের ইন্দ্রিয়গুলোর জন্যও জিঙ্ক প্রয়োজন। জিঙ্কের অভাব আপনার স্বাদ বা গন্ধের ক্ষমতা হ্রাস করে দিতে পারে।
শরীরে জিংক ঘাটতির লক্ষণ: মারাত্মক জিঙ্কের ঘাটতি অনেক কমই দেখা যায়। তবে এর লক্ষণগুলো হতে পারে, বৃদ্ধি বা বেড়ে ওঠায় বাধা, ত্বকে ফুসকুরি ওঠা, ডায়রিয়া, ক্ষত সহজে সেরে না ওঠা এবং অনেক সময় ব্যবহারেও পরিবর্তন আসতে পারে। তবে মাঝে মাঝে হালকা ধরনে জিঙ্কের অভাব হতে পারে। হালকা জিঙ্কের অভাবের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, চুল পাতলা হওয়া, ক্ষুধা কমে যাওয়া, মেজাজের ব্যাঘাত, শুষ্ক ত্বক, ক্ষত নিরাময় আস্তে হওয়া। তবে যাদের জিঙ্ক ঘাটতি হতে পারে তারা হলেন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগে যারা ভুগছেন, নিরামিষভোজীরা, গর্ভবতী বা যারা বুকের দুধ খাওয়ান, যাদের কিনডি সমস্যা আছে ইত্যাদি।
জিঙ্কের প্রা্কৃতিক উৎস গুলো: গরুর কলিজা,মাংস, সামুদ্রিক মাছ, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বীজ, বাদাম, দুধ, দই, পনির, ডিম, লাল চাল, কিছু সবজি, যেমন-মাসরুম, মটরশুঁটি ইত্যাদি।