ঘন, কালো, উজ্জ্বল, মসৃণ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল কে না চায় ? কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রচুর ধুলাবালি এবং চুলে প্রতিনিয়ত কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে আমাদের চুল স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই চুলের শুষ্কতা দূর করে স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ঘন কালো ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় চুল পেতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কিছু হেয়ার মাস্ক আপনাদের শেয়ার করছি। ফরমাশগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয় এগুলোর ব্যাপারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। যে কেউ ঘরে বসে হেয়ার মাস্ক গুলো তৈরি করে নিজেদের চুলের যত্ন নিতে পারেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক দ্রুত সময়ে চুলের শুষ্কতা দূর করে স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল, মসৃণ ও আকর্ষণীয় চুল পেতে অত্যন্ত কার্যকরী কিছু হেয়ার মাস্ক।
চুলের শুষ্কতা সম্পূর্ণরূপে দূর করে স্বাস্থ্যজ্জ্বল মসৃণ এবং আকর্ষনীয় চুল পেতে কার্যকরী হেয়ার মাস্ক সমূহঃ
অ্যাভোকাডো ফলের হেয়ার মাস্কঃ
চুলের শুষ্কতা সম্পূর্ণরূপে দূর করে চুলকে স্বাভাবিকভাবে হাইড্রেট করতে অ্যাভোকাডো ফলের হেয়ার মাস্ক টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে। চুল পড়া রোধ করতে। নতুন চুল গজাতে এবং চুলকে ঘন, কালো, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
যা যা লাগবেঃ
একটি অ্যাভোকাডো ফলের পেস্ট।
দুটি ডিমের কুসুম।
2 টেবিল চামচ অপরিশোধিত নারিকেল তেল।
হেয়ার মাস্ক তৈরির প্রক্রিয়াঃ
একটি পরিষ্কার পাত্রে অ্যাভোকাডো ফলের পেস্ট ডিমের কুসুম এবং নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিন অত্যন্ত কার্যকরী অ্যাভোকাডো ফলের হেয়ার মাস্ক।
অ্যাভোকাড়ো ফলের হেয়ার মাস্ক চুলে ব্যবহারের নিয়মঃ
প্রথমে হালকা পানির ছিটে দিয়ে চুল হালকা করে ভিজিয়ে নিন।
এরপর হেয়ার ব্রাশের সাহায্যে চুলের গোড়ায় মাথার ত্বকে এবং সম্পূর্ণ চলে এভোকেডো ফলের হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নিন।
5 থেকে 7 মিনিট আলতোভাবে আঙুলের সাহায্যে চুলের গোড়া ম্যাসাজ করুন।
শাওয়ার ক্যাপ করে নিন বা পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে চুল সমেত মাথা বেঁধে নিন।
25 থেকে 30 মিনিট অপেক্ষা করুন।
তারপর কুসুম গরম জল দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন এবং সবশেষে ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিন।
চুলের শুষ্কতা সম্পূর্ণরূপে দূর করে চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে হাইড্রেট করতে এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল, মসৃণ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে অ্যাভোকাডো ফলের হেয়ার মাস্ক টি সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
অবশ্যই পরিষ্কার মাথার ত্বকে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করবেন।
মাথায় এলার্জি সমস্যা থাকাকালীন সময়ে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করবেন না।
চুল কালার করলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করবেন না।
হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে গরম এবং ধুলাবালি যুক্ত স্থানে যাবেন না।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর অবশ্যই চুল দ্রুত শুকিয়ে নেবেন।
চুলের শুষ্কতা আমাদের চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিবর্ণ করে তোলে। তাই আমাদের নির্দেশিত পন্থা অনুসরণ করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসেই হেয়ার মাস্ক গুলো ব্যবহার করে নিজেদের চুলের যত্ন নিন । হয়ে উঠুন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ, আকর্ষণীয়, ঘন এবং কালো চুলের অধিকারী।