ছেলেদের মাথার খুশকি দূর করার অত্যন্ত কার্যকরী কিছু উপায়

খুশকি আমাদের সৌন্দর্যের অন্তরায়। ছেলেদের ত্বক মেয়েদের ত্বকের চেয়ে মোটা  হাওয়াই এবং রোদে, ধুলাবালিতে বেশি সময় ধরে ছেলেদের অবস্থান থাকার কারণে ছেলেদের মাথার ত্বকের খুশকির প্রবণতা অনেক বেশি। এই খুশকি ছেলেদেরকে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করে তোলে। আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করে আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছিনা। তাই আমাদের আলোচনা আমরা সাজিয়েছি । ছেলেদের মাথার ত্বক থেকে কিভাবে খুশকি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক ভাবে দূর করা যায় তার কিছু উপায় নিয়ে। তাহলে চলো বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক ছেলেদের মাথার ত্বকে খুশকি দূর করার উপায়।

খুশকি কি?

খুশকি অতি পরিচিত একটি চর্মরোগ ।  খুশকি সাধারণত মাথার ত্বকে বাক্যটিতে হয়ে থাকে।। খুশকির ফলে মাথার ত্বক থেকে আর ওটার মত করে চামড়া উঠতে থাকে।

ছেলেদের খুশকি হওয়ার কারণসমূহঃ

মাথার খুলির ত্বকে ধরনের ছত্রাক এর সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে বা সংক্রমণ বেড়ে গেলে।

তেলগ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত উপাদান বেশি পরিমাণে নির্গত হলে।

মাথার ত্বক অপরিষ্কার রাখলে।

মাথার ত্বকে অধিক পরিমাণ ধুলাবালি বা ময়লা থাকলে।

অনেকের বংশগত বা জিনগত কারণে খুশকি হয়।

ছেলেদের মাথার খুশকি দূর করার কার্যকরী উপায় সমূহঃ

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাঃ

ছেলেদের মাথার ত্বক থেকে খুশকি দূর করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যেহেতু দিনের অধিকাংশ সময় ধুলোবালি এবং অতিরিক্ত রোদে থাকে তাই খুশকির প্রবণতা ছেলেদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত। তাই মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনঃ

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ছেলেদের মাথার খুশকি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। চর্বি জাতীয় খাবার খুশকি দূর করতে সহায়তা করে।

অলিভ অয়েলঃ

ছেলেদের ত্বকের খুশকি দূর করতে অলিভের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অলিভ হয়েল প্রাকৃতিকভাবেই মশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই নিয়মিত অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে ছেলেদের ত্বকের খুশকি দূর হবে।

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরাঃ

খুশকিযুক্ত মাথায় অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার খুশকি সম্পূর্ণরূপে দূর করে এবং খুশকি চুলকানি দূর করে  আপনাকে দেয় প্রশান্তি। অ্যালোভেরার বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান ছেলেদের  মাথার ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া সমূহ ধ্বংস করে চুলকে করে তোলে সজীব এবং সতেজ।

মেথি -তেলঃ

অপরিশোধিত নারকেল তেলের সাথে মেথি মিশিয়ে কয়েকদিন রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় ওই তেলটি ব্যবহার করুন এবং সকালে ধুয়ে নিন এতে ছেলেদের মাথার ত্বকের খুশকি দূর হবে।

লেবুর রসঃ

ছেলেদের মাথার খুশকি দূর করতে লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকরী। 4 টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে মাথায় সম্পূর্ণ ভালভাবে মালিশ করে নিন।  একটি পাত্রে পানি নিয়ে ওই পাত্রে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন এতে খুশকি সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হবে।

লবণঃ

শ্যাম্পু করার কিছু সময় পূর্বে মাথার ত্বকে  লবণ মিশিয়ে দিন। তাহলে শ্যামপুর সম্পূর্ণ উপকারিতা বুক করতে পারবেন। এতে করে ছেলেদের মাথার খুশকি দূর হবে।

চায়ের লিকারঃ

চায়ের লিকার ঘন করে নিয়ে তার সঙ্গে অল্প পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ভালোভাবে মালিশ করুন।  আধঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। এতে ছেলেদের ত্বকের খুশকি দূর হবে।

নিম পাতাঃ

পরিমাণ পানিতে নিমপাতা সিদ্ধ করে নিন। তারপর নিমপাতা ছেঁকে নিয়ে ওই পানি দিয়ে তার মাথার ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ছেলেদের ত্বকের খুশকি দূর করতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এটি ব্যবহার করুন।

আমলকি পাউডারঃ

পরিমাণমতো পানিতে আমলকি পাউডার মিশিয়ে মাথার খুলির ত্বকে লাগিয়ে দিন এবং কিছু সময় পরে শ্যাম্পু করে নিন এতে ছেলেদের  খুশকি দূর হয়।

টক দইঃ

টক দই মাথার ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের মাথার ত্বকে এককাপ টকদই ভালোভাবে  মালিশ করুন কিছু সময় রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এতে খুশকি দূরীভূত হবে।

ছেলেদের ত্বকের খুশকি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপসঃ

মাথায় খুশকি হলে চুলের ব্রাশ চিরুনি এবং বালিশের কভার নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করুন।

চুলের গোড়ায় সরাসরি মেহেদি ব্যবহারের পরিবর্তে মেহেদির রস ব্যবহার করুন।

ধুলাবালি  বা রোদে বের হওয়ার সময় মাথায় স্কার্ফ, টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।

চুল যদি কালার করান তাহলে লেবুর রস ব্যবহারে দূরে থাকুন।

মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ময়লা মুক্ত রাখুন।

নিয়মিত অপরিশোধিত তেলের ব্যবহার করে তুলুন।

চুল বেশিক্ষণ ভেজা রাখবেন না যত দ্রুত সম্ভব শুকিয়ে নিন।

প্রতিদিন পরিমাণমতো পানি খান।

উপরোক্ত বিষয় সমূহ ভালো ভাবে মেনে চললে ছেলেদের মাথার খুশকি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হবে।

 

খুশকি দূর করার উপায় সমূহ নিয়ে আমাদের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে খুশকি দূর করার উপায় সমপর্কিত কলামটি পড়ুন।

 

ছেলেদের মাথার  খুশকি দূর করতে উপরোক্ত আলোচনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মেনে চলুন।   বিভিন্ন বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। নিজের চুলের যত্ন নিন। সুস্থ।,সুন্দর, মসৃণ এবং প্রাণবন্ত চুলের অধিকারী হন।

ধন্যবাদ।