ত্বক কে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে মিষ্টি কোমড়ার সেরা কয়েকটি ফেইস মাস্ক

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মিষ্টি কুমড়া দিয়ে তৈরি করা সেরা কতগুলো ফেইস মাস্ক। বন্ধুরা, এই ফেইস মাস্ক গুলো তৈরি করে ব্যবহার করলে আপনারা খুব বেশি উপকৃত হবেন। কারণ ফেইস মাস্ক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আপনারা আপনাদের সৌন্দর্য কে অনেক বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন, যেটা আমাদের সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

বন্ধুরা আমরা সবাই চাই কিভাবে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারি। কিন্তু এই বাড়ানোটা কিভাবে সম্ভব সেটাই আমরা বুঝি না। যার কারণে আমরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে বাজারের বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যাবহার করি যেগুলো আমাদেরকে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সৌন্দর্য বা উজ্জলতা ফিরিয়ে দিলেও দীর্ঘকালীন অনেক বড় একটি সাইড ইফেক্ট রেখে দেয়।

স্থায়ী সুন্দরের জন্য আমাদেরকে আর চিন্তা না করে আজকে যে সকল ফেইস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এগুলো যদি আপনারা নিয়মিত ব্যবহার করেন, তাহলে আপনারা স্থায়ীভাবে পাবেন আপনাদের চেহারার ও ত্বকের সৌন্দর্য।

মিষ্টি কোমড়ার পেস্টের সাথে ডাল ও ডিমের মিশ্রনঃ

এটি তৈরি করতে আপনাদের যে সকল উপকরণ লাগবে……

  • testosterone cypionate pills price কাপ মিষ্টি কোমড়ার পেস্ট
  • ১ চা চামচএলোভেরা
  • ১ টি ডিমের সাদা অংশ

এই ফেইসপ্যাকটি যেভাবে আপনাদের তৈরি করবেনঃ

একটি বাটিতে ব্লেন্ড করা মিষ্টি কুমড়া নিয়ে তার মধ্যে ডিমের  হলুদ কুসুম কে আলাদা করে ডিমের বাকি সাদা অংশ গুলো দিতে হবে, তারপরে এলোভেরা জেল দিতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে সংগ্রহ করতে পারলে সবচেয়ে ভালো অথবা বাজারে যে সকলের এলোভেরা জেল পাওয়া যায় ওখান থেকেও আমরা ব্যবহার করতে পারি।

এরপরে এই তিনটি উপকরণ ভালোমতো মিক্স করে আমাদের মুখে লাগানো উচিত। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

উপকারীতাঃ

  • এই প্রক্রিয়াটি যদি আমরা সপ্তাহে অন্তত তিনবার করতে পারি তাহলে আমাদের মুখ থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়ে যাবে।
  • সাথেসাথে চেহারাকে অনেক বেশি নরম উজ্জ্বল হবে।
  • এটি ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর করে।

মিষ্টি কোমড়ার সাথে চিনি ও হলুদের মিশ্রনঃ

এই ফেইসপ্যাকটি তৈরি করতে আপনাদের যে সকল উপকরণ লাগবে তা হল………

  • পাকা মিষ্টি কুমড়ার পেস্ট ২ টেবিল চামচ।
  • হলুদ গুঁড়ো অল্প পরিমাণ।
  • ১চা চামচ দুধ/পানি/গোলাপ জল।
  • প্যাক যেভাবে বানাবঃ

একটি বাটিতে অল্প পরিমাণে পানি অথবা গোলাপজল অথবা দুধ যেটি আপনার হাতের কাছে থাকবে তা দিয়ে উপকরণ সবগুলো দিয়ে ভালোমতো মিক্স করে মুখে লাগিয়ে নিবেন। বন্ধুরা আমি যে কথাটি প্রতিবারই বলি সেটি হল যে কোন মাক্স মুখে লাগানোর সময় অবশ্যই শোয়া অবস্থায় লাগাবেন। এতে আপনাদের মুখের ত্বক অনেক ঠান্ডা থাকবে। এটি লাগিয়ে আপনারা ৩০ মিনিট মতো সময় দিয়ে তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এরপরে পছন্দমত যে কোন একটি মসরাইজার লাগিয়ে নিবেন।

উপকারীতাঃ

  • প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা এ সকল উপকরণ দিয়ে তৈরি করা ফেইস মাস্ক আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী তা ত্বক বিশেষজ্ঞ বায়োস্ক্রীন বিশেষজ্ঞরা প্রায় বলে থাকে।

মিষ্টি কোমড়ার সাথে ময়দা ও চন্দনের মিশ্রনে প্যাকঃ

আমাদের ত্বককে আরও বেশি নরম, সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করবে এই প্যাকটি তৈরি করতে আমাদের যে উপকরণ লাগবে………

  • পাকা মিষ্টি কুমড়া ব্লেন্ড করা ২ টেবিল-চামচ।
  • ২ টেবিল চামচ ময়দা।
  • চন্দনের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ।
  • ১টি ডিম
  • ২ টেবিল-চামচ ব্লেন্ড করা পুদিনা পাতা।

প্যাকটি যেভাবে আমাদের ব্যবহার করতে হবঃ

বন্ধুরা এই প্যাকটি যেভাবে আমাদের ব্যবহার করতে হবে, একটি বাটিতে প্রতিটি উপকরণ ভালোমতো নিয়ে মিক্স করে আমাদের মুখে লাগাতে হবে। অবশ্যই চোখ এবং ঠোট এর এরিয়া ছাড়া চোখের উপর আমরা শশা কেটে চোখের উপর বসিয়ে দিব। তারপরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো মতো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিব।

উপকারীতাঃ

  • এটি মুখ ফর্সা করতে খুব কার্যকরী।
  • মুখের ত্বক মোলায়েম করতে এটির ব্যবহার অতুলনীয়।

বন্ধুরা উপরে যে তিনটি ফেইস মাক্স এর কথা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, এই তিনটি ফেইস মাক্স কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে সংগ্রহীত উপকরণ দ্বারা তৈরিকৃত সেরা ফেইস মাক্স গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই ফেইস মাক্স গুলো আমরা ব্যবহার করব এবং ত্বকের পুরোপুরি যত্ন নিব। ধন্যবাদ।