ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল দেখাতে পাকা পেঁপের সেরা ২টি ফেইসমাস্ক

 

আমরা সবাই জানি কেন আমরা ফেইস মাস্ক ব্যবহার করে থাকি। ফেইস মাস্ক আমরা এ কারণে ব্যবহার করে থাকি যাতে আমাদের চেহারার ত্বক  টানটান থাকে। অর্থাৎ বয়সের একটি চাপের কারণে বা হরমোনজনিত কারণে আমাদের চেহারা চামড়া গুলো অনেক ঢিলা ঢালা এবং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

কিন্তু আমরা যদি রুটিন করে আমাদের শরীরের ত্বকে বা মুখের ফেইস মাস্ক ব্যবহার করি তাহলে আমাদের মুখ অনেক বেশি টানটান ও কচি দেখাবে।

তাই সবার ইচ্ছে করে নিয়মিত ফেইস মাক্স ব্যবহার করতে। এছাড়াও আমরা আমাদের ত্বককে আরও বেশি টানটান করার জন্য ফেসিয়াল করে থাকি, কিন্তু বন্ধুরা ফেসিয়াল এর চেয়ে অনেক বেশী কার্যকরী হচ্ছে ফেইস মাস্ক, আর সেটা যদি ঘরোয়া উপায়ে করা যায় তাহলে তো আর কথাই নেই।

ত্বক টানটান করতে পাকা পেঁপের ফেইসমাস্কঃ

এখন আমরা জেনে নিব বন্ধুরা এই ফেইস মাক্স গুলা কিভাবে বানাবে  যেখানে প্রধান উপাদান হিসেবে পাকা পেঁপে কাজ করবে।

  • ব্লান্ড করা পাকা পেঁপে ২ টেবিল চামচ
  • ১ টি টমেটো। অবশ্য পাকা হতে হবে এবং প্রাকৃতিক ভাবে হলে সবচেয়ে ভালো হয় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা নয়।
  • ভিটামিন ই

 ফেইস মাস্ক বানানোর নিয়মঃ

একটি বাটিতে তিনটি উপকরণ একসাথে নিয়ে ভালোমতো মিক্স করে আমাদেরকে এটি মুখে লাগাতে হবে। এটি আমাদের মুখে লাগানো সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে রাতের বেলা। আমরা যেকোনো ফেইস মাক্স ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করব।ফেইস মাস্ক দিয়ে কারো সাথে কথা বলা যাবেনা। যদি কারো সাথে কথা বলি এতে আমাদের ত্বকের চামড়া কুচকে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত যতক্ষণ না শুকিয়ে যায় ততক্ষণ শুয়ে থাকা।

উপকারিতাঃ

  • এটি ব্যবহারে আমাদের মুখের মৃত কোষ গুলোকে জাগিয়ে তুলে।
  • রাতে এটি ব্যবহার করলে ত্বক টান টান হয়।

যখন ফেস মাক্স শুকিয়ে যাবে তখন উঠে একটু উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলব। এরপরে হাতের কাছে থাকা যেকোনো ভালো একটি মসরাইজার মুখে লাগাবো।

ত্বকের কুঁচকে যাওয়া ভাব দুর করতে পাকা পেঁপের কার্যকরী ফেইসমাস্কঃ

এটি তৈরি করতে আপনাকে হাতের কাছে রাখতে হবে……

  • পাকা পেঁপের পেস্ট ১ কাপ
  • ১টি ডিমের সাদা অংশ
  • ২ চা চামচ মুলতানি মাটি।

যেভাবে বানাতে হয়ঃ

২চা চামচ মুলতানি মাটি ও ডিমের সাদা অংশ একটি বাটিতে নিয়ে সেখানে পাকা পেঁপের পেস্ট টা দিয়ে প্রত্যেকটি উপকরণ ভালোমতো হাত দিয়ে মিক্স করে নিতে হবে। ভালোমতো মিশ্রণটি তৈরি করে নিয়ে আপনি এটি গোসলের আগে আপনার পুরো শরীরে লাগাতে পারেন।

উপকারিতাঃ

  • এটি আপনার শরীরের ও মুখের ত্বকের যে একটি বয়স্ক বা কুঁচকে যাওয়া ভাব সেটি দূর করে দিবে।
  • বন্ধুরা এটি গোসলের আগে লাগিয়ে আমরা ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করবো এর পরে গোসলের সময় একসাথে ধুয়ে ফেলব। গোসলের শেষে আমরা মসারাইজার ব্যবহার করবো।
  • বন্ধুরা এখন যে দুইটি প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম এই ফেইস মাক্স দুটো কিন্তু দারুণ কার্যকর। আমি আপনাদের সাথে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনারা যে ফেইস মাক্স গুলো বিভিন্ন পার্লারে গিয়ে ব্যবহার করেন এবং কেমিক্যাল এর সমাহার দিয়ে ব্যবহার করেন তার চেয়ে হাজারগুন ভালো ফলাফল এই ফেইসপ্যাক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আপনারা পাবেন।
  • ঘরোয়া উপাদান, ভালো উৎস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন তাতে করে আপনার ফেইস মাক্স গুলো হয়ে উঠবে আরও বেশি কার্যকরী।

তাহলে বন্ধুরা এই ফেইস মাস্ক গুলো আমরা নিয়ম মত ব্যবহার করব এবং আমাদের ত্বক ও মুখ কে অনেক বেশি সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখবো।

নোটঃ একটি কথা বলে রাখা ভালো যত বেশি কম কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব ততটুকু এডিয়ে চলুন, তাতে সুন্দর শরীর,আরো বেশি সুন্দর থাকবে।সাময়ীক একটু সৌন্দর্যের জন্য আমাদের মূল্যবান ত্বকের সৌন্দর্যকে আমরা নষ্ট হতে দেব না। ধন্যবাদ।