নিয়মিত আনারস খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো কি কি?
মৌসুমি ফল আমরা কম বেশি সবাই খাই। তাছাড়া পৃথিবীতে এমন কেউ পাওয়া যাবে না যে সে ফল পছন্দ করে না। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি যে আমরা সবাই ফল ভালবাসি। তাই আমরা কমবেশি সবাই ফল খেতে চাই। কিন্তু আমরা যখন ফল খাই তখন কিন্তু কোন চিন্তা করি না কোন ফলে কি পরিমান উপকার আছে। যা আমদের শরীরের কি উপকারে করে। আর আমরা যদি জানতাম অমুক ফল খেলে এই ধরনের উপকার এবং এই ফল খেলে এইরকম উপকারে আসে তাহলে আমরা ছোট বড় সবাই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কম বেশি কোন না কোন ফল রাখতাম।
আমাদের শরীরে উপকারে আসে বা শরীর খুব ভালো রাখে এইরকম ফলের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ফল হচ্ছে আনারস। অনেকটা টক মিষ্টি স্বাদের এই ফল আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই একটি উপকারী ফল। এই আনারসে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ এ,সি, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম ও ফসফরাস। আর এই গুরুত্বপুর্ন্য উপাদান গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অভাব পুরনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তাই আমাদের উচিৎ বেশি করে আনারস খাওয়া।যাতে শরীরের কোন ভাবেই পুষ্টির অভাব না হয়।
আজকে আমরা যেনে নিব আনারসের কিছু খেলে কি ধরনের উপকার হয় শরীরে
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এ সব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এসব পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
আনারস হজমশক্তি বাড়ায়
আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
হাড়ের সুস্থতায় আনারস
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় আনারস ভালো কাজ করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় আনারস খেতে পারেন
আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।