প্রিয় বন্ধুরা
আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরী বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি,
আর বিষয়টি হলো প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমাতে পারবেন।
চলুন বন্ধুরা,
তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায় গুলো কি কি?????
প্রথমে ব্যায়াম।
ব্যায়ামে বা হেঁটে ওজন কমানো যায় বটে তবে এই গুলো ছাড়াও আরো দুটো করা যায়।
যদি মানা যায় প্রাকৃতিক পন্থাগুলো সঙ্গে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি হওয়া শক্তি থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শরীরে জমে থাকা চর্বি থেকে শক্তি তৈরি হয়। শরীরে ওজন কমাতে তাই যত গ্রহণ করছেন তার চেয়ে বেশি ক্যালোরি খরচ করতে হয়।
যখন খাবার খাওয়ার চাইতে বেশি শক্তি খরচ হবে তখন শরীরের চর্বি কমতে থাকবে। এটা অনেকটা পানি বাষ্প হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার।
আর এই প্রক্রিয়াতে ওজন কমানো সম্ভব।
উপরের প্রক্রিয়ায় ওজন কমানোর সার্বজনীন পন্থা হিসেবে স্বীকৃত। এ প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে প্রাকৃতিক ভাবে চর্বি ঝরানোর কিছু পক্রিয়া এখানে দেওয়া হলো।
প্রথমে আসা যাক গ্রিন টি।
এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতেও বেশ উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি পান করলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।
এছাড়া এট এমন ভাবে বানান যা তৈরি করতে প্রয়োজন আদা। আদা পরিষ্কার করে কুচি করে কেটে ১ চা চামচ পরিমাণ মত পানি এবং মধু এর মধ্যে গ্রীন পাতা দিয়ে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ছেঁকে নিন। দিনে দুই-তিন কাপে চা পান করার চেষ্টা করুন। দেখবেন অনেক উপকার পাচ্ছেন।
দ্বিতীয় নাম্বার দারুচিনির চা,
রক্তের শর্করার পরিমাণ আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। তাই এর মাত্রার উপর নির্ভর করে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং শক্তির পরিমাণ। রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকলে খুদার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকার পাশাপাশি কর্ম ক্ষমতা ঠিক থাকে। ফলে শরীরে মেদ জমে থাকার ঝুঁকি কমে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে দারুচিনির দারুণ কার্যকর। এই মিশ্রণ তৈরী করতে লাগবে ১ টেবিল চামচ মধু একটি আস্ত দারুচিনি এবং আট আউর বিশুদ্ধ পানি। পানি গরম করে তাতে দারুচিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। কুসুম গরম হলে তা পান করুন দিনে দুই-তিনবার।
এবার তিন নাম্বারে আসা যাক,
গোলাপের পাপড়ির পানি
পানি বা গোলাপজল ত্বকের যত্নে অতুলনীয় এটা কমবেশি সবারই জানা। তবে এই পানীয় যে শরীরের জন্য উপকারী সে সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই।
গোলাপের পাপড়ি ফুটানো পানি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ফলে শরীরে জমে থাকা সোডিয়াম কার্যকরভাবে পরিশোধন করতে পারে কিডনি আর এই প্রক্রিয়ায় পানির চাহিদা বাড়ে ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। পান করার জন্য এই পানীয় তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া একমুঠো তাজা শুকনো গোলাপের পাপড়ি, খাবার পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি আটকে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন এই পানীয় ঠান্ডা করে ছয়দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যায়।প্রতিদিন খালি পেটে এক কাপ করে পানি পান করুন।
সিঙ্গাম সিঙ্গাম অভ্যাস ক্ষুধার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে ফলে মস্তিষ্কে পৌঁছায় যে খাওয়া হচ্ছে ফলে খাবারের চাহিদা কমে আসে এই অসময়ে খাবার ইচ্ছা জাগে চিনি ছাড়া সিঙ্গাম সাবান পানি পান ওজন কমানোর অন্যতম একটি উপায় হলো পানি পান করা পর্যাপ্ত পানি শরীরের দূষিত পদার্থ ফেলার পাশাপাশি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে প্রতিদিন অন্তত গ্লাস পরিমাণ পানি পান করা উচিত
পাঁচ নাম্বার
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ধরে রাখতে এবং বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।
শরীরের প্রতিটি অংশের মধ্যে কাজের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকতে সঠিক মাত্রায় ঘুম অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুম দীর্ঘদিন অনিয়ম হলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায় যা থেকে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম করে ঘুমাতে হবে।
ছয়নাম্বার
টক দই ও মধু টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়ার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।দই এ যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা হজম প্রক্রিয়াকে সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে। হজমের পাশাপাশি কিছু চর্বি ও অন্যান্য উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকা সেই ব্যাকটেরিয়া আর মিষ্টির চাহিদা পূরণ করবে কোন ক্ষতি ছাড়াই।
তবে এক্ষেত্রে ফ্যাটবিহীন বেছে নিতে হবে।
দইএর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে সকালের নাস্তার সঙ্গে খেতে পারেন। সাধের ভিন্নতা আনতে পছন্দের ফল বা অন্য কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
সাত নাম্বার
গোলমরিচ ও লেবুর রসের সঙ্গে গোলমরিচের গুড়ো মিশ্রন ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। গুলমরিচে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা থেকে এর ঝাঁঝালো স্বাদ হয়ে থাকে। তাছাড়া রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গোলমরিচ বেশ উপকারী। অন্যদিকে লেবু হজমে সহায়তা করে ফলে ওজন কমাতে সাহায্য হয়। এই শরবত তৈরি করতে প্রয়োজন হবে অর্ধেক লেবুর রস, অল্প পরিমাণ গোলমরিচের গুঁড়া, পরিমাণমতো পানি এই মিশ্রন প্রতিদিন একবার খাওয়ার পানি
খাবারের পর পান করুন।দেখবেন আপনি কিছু দিনের মধ্যে আপনার নিজের চোখে ফলাফল টি দেখতে পাচ্ছেন।
আত নাম্বার
চকলেট ওজন বাড়ার জন্য দায়ী। তাই চকলেটের লোভ সামলাতে চলতে হয় অনেকের। তবে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রাতের খাবারের পর থেকে দুই ইঞ্চি আকারের এক টুকরো চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
যেকোনো খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ব্যায়াম ওজন কমাতে সহায়ক। খাবার কমানোর পরেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যায়াম না করার কারণে ওজন কমে না। তাই বন্ধুদের জন্য আমার একটাই অনুরোধ উপরে যে প্রাকৃতিক উপায় গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি সেগুলো ফলো করবেন। তার পাশাপাশি অবশ্যই ব্যায়ামকে রাখবেন কারণ শারীরিক ব্যায়াম ব্যতীত যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক উপকরণ আপনি নিজের উপর এপ্লাই বা প্রয়োগ করুন না কেন তার যথাযথ ফলাফল আপনি পাবেন না।
ধন্যবাদ বন্ধুরা