মাসিকের সময় রক্ত কম গেলে কি করনীয়

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আরো একটি চমৎকার বিষয়।  বিষয়টি হলো পিরিয়ডের সময় আমাদের অনেকেরই রক্ত কম যায়।এটা নিয়ে অনেকে উদিগ্ন থাকে, আজকের আলোচনায় থাকবে কেন পিরিয়ডের সময় ব্লাডের ফ্লো কমে যায় এবং এ সময় কি করনীয় আমাদের…………

এখন আমরা জানবো কেন এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

সত্যিকথা বন্ধুরা

পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা রকম ঝামেলায় আমরা সকলে জর্জরিত থাকি।  তার মধ্যে যদি আবার রক্ত কম-বেশি নিয়ে চিন্তা করতে হয় সেটা বাড়তি ঝামেলার কারন।

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যাথা থেকে শুরু করে, ঠিক সময় হচ্ছে কিনা,  এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখা পিরিয়ডের সময় ,সব মিলিয়ে মেয়েদের একে কেন্দ্র করে যেন দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। এখন যদি আবার নতুন সমস্যা হয় তাহলে সেটাও সমস্যা ছাড়া কিছুই নয়।

তাহলে বন্ধুরা……………

আমরা জেনে নেব কেন এ রকম হয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমান জীবন যাত্রার কারণে নানা রকম স্ট্রেস তো আমাদের আছেই। প্রতি ২১ বা ৩৫ দিন এর মধ্যেই  মোটামুটিভাবে আমাদের পিরিয়ড টি হয়ে থাকে। তবে ব্লাড ফ্লো কম হলে বা এমন কিছু লক্ষণ যদি আমাদের দেখা যায় তাহলে সেটা খুবই চিন্তার কারণ।

বন্ধুরা এই ধরনের  ব্লাডফ্লো আমরা তখনই চিহ্নিত করব যখন আমরা দেখব দুই দিনের বেশি ব্লিডিং থাকে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিকুরিয়া হয়, কখনো এরকম হয় যে দুই মাস পিরিয়ড  হয় না। অথবা ২১ দিনের আগে পিরিয়ড হয়ে যেতে পারে। যখন এ ধরনের সমস্যা গুলো হয়,বা  আমরা যখন এই ধরনের সমস্যা গুলোর  কথা ডাক্তারদের বলি তখন ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে এর অনেকগুলো কারণ দেখিয়েছেন। যে কারণগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবঃ-

ডাক্তাররা বলেছেন………………

  • বয়সন্ধিকালে পিরিয়ড এর নানা সমস্যা দেখা যায়।
  • এছাড়াও বিভিন্ন হরমোনের তারতম্যের জন্য পিরিয়ড এ তার প্রভাব পড়ে। যার জন্য পিরিয়ডের সময় ব্লাড ফ্লো কম থাকে।
  • ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে ব্লিডিং কম হয়। আবার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তখন ও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • স্ট্রেস ও বিভিন্নভাবে আমাদের পিরিয়ডের উপর প্রভাব ফেলে। আমরা যদি খুব বেশি টেনশনে থাকি, সেটা আমাদের সে সময়ে যদি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের পিরিয়ডের সময় ব্লাড ফ্লো কমে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে ও পিরিয়ডের সময় ব্লাড ফ্লো কে কমিয়ে ফেলতে পারে।
  • প্রতিদিন সুষম খাবারের অভাব হলে সেটা যদি পিরিয়ডের সময় আরো বেশি হয়, তাহলে আমাদের পিরিয়ডের সময়কাল এ ব্লাড ফ্লো কমে যেতে পারে।

এছাড়া আরো অনেক সমস্যার কারণে এমনটা হয়।

যার মধ্যে প্রথমটি হলো হরমোনজনিত সমস্যা

হরমোন জনিত সমস্যার কারণে এমনটি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

ডায়াবেটিস

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে সে সকল ডায়াবেটিস পেশেন্ট এর  পিরিয়ডের সময় ব্লাড ফ্লো কমে যেতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলেও লাইট পিরিওড হতে পারে অর্থাৎ পিরিয়ডের সময় ব্লাড ফ্লো কমে যেতে পারে।

তাই পর পর দুই থেকে তিন মাস যদি পিরিয়ডে ব্লিডিং কম হয় তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে কারণ ব্লাড ফ্লোর পরিমাণ যদি খুব বেশি হয়ে যায়। সেটা পিরিয়ড এর জন্য স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়।

তাহলে বন্ধুরা আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।