যে কারণ গুলোর কারনে বর্তমানে ছেলেদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।

যে কারণ গুলোর কারনে বর্তমানে ছেলেদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।

যৌন শক্তি কমে যাওয়া পুরুষ মানুষের জন্য বিশাল চিন্তার বিষয়। কারন পুরুষ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌন চাহিদা কমে যাবে তা মুটামুটি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু মাঝ বয়সে ছেলেদের জৈবিক চাহিদা কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে । পুরুষের বীর্জে স্প্রাম বা সিমেন্স কমে যাওয়ার ঘটনাকে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়াকে বুঝায়। বর্তমানে এক জরিপে দেখা গেছে ৩০-৫০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষ মানুষই বেশি দায়ি।

যৌন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতি মিলিলিটারে যদি স্প্রাম এর সংখ্যা ১৫ মিলিয়ন বা দের কোটি কম হলেই কিন্তু সাধারণত মহিলাদের গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। বর্তমানে আমাদের ব্যস্ত জীবন যাপন, অপ্রয়োজনীয় ডায়েট কন্ট্রল,বিভিন্ন মানসিক চাপ, খাবারে বেজাল ইত্যাদি নানান কারনে বন্ধ্যাত্ব এখন একটি সাধারণ রোগ হয়ে দাড়িয়েছে।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের সবাইকে অর্থাৎ নারী পুরুষ সবাইকে আরো বেশি সচতন হতে হবে। দেখে শুনে খাবার গ্রহন করতে হবে। বিভিন্ন বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। শরীরকে সুস্থ্য রাখা জরুরী তানা হলে বিপদ আসন্ন।

আসুন আজকে জেনে নেই যে খারাপ অভ্যাস গুলোর জন্য পুরুষদের যৌন শক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।

বেশি মাত্রায় ধূমপানঃ

ধূমপানে অন্যান্য ক্ষতির পাশাপাশি প্রজনন ক্ষমতাকে মারাত্মক হারে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কালেভদ্রে ধূমপান করাএমনকি ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণেও পরোক্ষ ধূমপান প্রজনন ক্ষমতার ক্ষতি করে। এর ফলে পুরুষের বীর্জের মান কমে যায়।

অতিরক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার

বাতাসের বিভিন্ন দূষিত উপাদানকীটনাষক ইত্যাদিতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান প্রজনন ক্ষমতা কমাতে ভুমিকা রাখেগৃহস্থালীর যেকোনো পণ্য কেনার সময় দেখে নিতে হবে এতে পিসিবিথ্যালেটসফুরান ইত্যাদি আছে কি না। এই উপাদানগুলোই বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টির জন্য দায়ী।

বিভিন্ন মানসিক চাপ

প্রজনন ক্ষমতা বাড়ার পথেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা মানসিক চাপকারণ মানসিক চাপগ্রস্ত অবস্থায় শরীরের যে হরমোনগুলো নিঃসৃত হয়সেগুলো প্রজনন ক্ষমতাকে দমিয়ে রাখে। নারীপুরুষ উভয়ই শিকার হন। ফলে গর্ভধারণ জটিল হয়ে ওঠে।

যৌগ রোগ সংক্রান্ত সমস্যাঃ

অনিরাপদ যৌনসঙ্গমের কারণে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ আশঙ্কা থাকে।  ধরনের সংক্রামক রোগগুলো নিজের জীবনের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পৃথিবীতে নতুন জীবন নিয়ে আসার জন্যও ক্ষতিকর। বেশিরভাগ যৌনরোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেয়া হয় না সময় মতো। ফলে তা প্রজনন তন্ত্রকেই নষ্ট করে ফেলে।

মাত্রাতিরিক্ত কফি পান

চা কফি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী তবে দিনে তিন থেকে চার কাপের বেশি কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা এখনই কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরে প্রবেশ করলে তা শুক্রাণুর উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি

সাধারণ বিএমআই বিভাগের পুরুষদের তুলনায় স্থুল পুরুষদের বীর্যের গুণমান কম থকে। এছাড়া স্থুল মানুষের শুক্রাণুর ডিএনএ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অতিরিক্ত অলস জীবনযাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বসে থাকা জীবনযাপনের ফলে শুক্রাণুর গুণমানপরিমাণ এবং স্ট্যামিনা কমে যায়। ফলে প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।