আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আর বিষয়টি হচ্ছে কিভাবে আপনি খুব সহজ উপায়ে আপনার ফিগার টি ধরে রাখবেন। বা সুন্দর করবেন।
তাহলে বন্ধুরা ,
দেখে নেওয়া যাক সে উপায় গুলো কি?????
একসময় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে নাদুসনুদুস চেহারার মানুষকে বোঝানো হত। কিন্তু বর্তমানে সুস্বাস্থ্য মানে স্লিম শরীর কে বোঝায়। যাকে যে কোন পোশাকে মানায় এবং সবার মাঝে আকর্ষণীয় লাগে।
এই ফিগারের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা।
প্রথমে আসা যাক,
শরীরচর্চাগার বা ব্যায়ামাগার বললে অনেকে বোঝেন ফিটনেসসেন্টার। বিভিন্ন যন্ত্র বা প্রশিক্ষণ এর সাহায্যে দৈহিক সুন্দর্য বাড়ানোর কিছু নিয়মকানুন। কিন্তু সেখানে যাতায়াত এবং ব্যায়াম করার জন্য বেশ সময়ের প্রয়োজন।
তাই সুন্দর ফিগার চাইলেও চাকরি সংসারের নানা কাজ ফেলে নিয়ম করে ফিটনেসসেন্টার এর জন্য সময়, খরচ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
দ্বিতীয় নাম্বার,
যে উপকরণটি সেটি হল ঘরের মেঝে মোছা। অথচ কাজগুলো যদি নিয়ম করে ঠিকমতো করা যায় তাহলে এটি সম্ভব। অর্থাৎ বাড়ি ঘর পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার শরীর সুন্দর করে। বিশেষ করে মেঝে মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবে পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে ফলে পেটের মেদ সহজে কমে যায় নিয়ম করে স্লিম হয়। আর কোমরের আকার ও সুন্দর হয়।
দরজা জানালা পরিষ্কার
জানালার গ্লাস বা দরজা পরিষ্কার করতে গেলে হাত বারবার উপরে নিচে নামাতে হয় এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ নড়াচড়া হয় । কাজে জানালা-দরজা পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি হাতের মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে যায়।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশি খানিকটা ঝুলে পড়ে যা হাতের এই ব্যায়ামের এর মাধ্যমে কমানো সম্ভব।
দাঁড়িয়ে ঘরের কাজ করুন। আগেকার দিনে মেয়েরা রান্না ঘরের সব কাজ বসে বসে কাজ করত। এভাবে কেবল একটি কাজ করা যায়।
কিন্তু দাঁড়িয়ে কাজ করলে একই সাথে রান্না বাসুন দুয়া কাটাকাটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজগুলো করা সম্ভব। এতে খানিকটা হলেও কিছুটা হার্ট শক্ত থাকে।এর কারনে সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেদ জমতে পারে না।
বাড়িতে বসে কাপড় বাঁধা অবস্থায় কাজ করুন। ফলে আপনার নিয়মিত যে পেটের চর্বি জমে যাবে সেটি আর হবেনা।ফলে নিজেকে দেখতে যেমন সুন্দর অন্যদিকে আয়ু বাড়ে।
এতক্ষণ ধরে উপরে যে বিষয়গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম সেগুলো হলো কোন ধরনের অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে আপনার দৈনন্দিন কাজ গুলো নিজেরাই করার মধ্য দিয়ে কিভাবে নিজেকে আপনি ঠিক রাখবেন।
আপনার ফিগার টি সুন্দর রাখবেন, নিজেকে সুস্থ্য রাখবেন সে উপায়গুলো বললাম।
এখন এর পাশাপাশি আরও কিছু উপকরণ বা উপাদান আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাতে করে আপনি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন।
সঠিক খাবার
দিনে পাঁচটি ফল এবং শাকসবজি খান। উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত খাবার যেমন আলো রুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার খান।
সিম, ডাল, মাছ, মাংস, ডিম এবং অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খান।
অল্প পরিমাণে স্যান্ডউইচ খান। দিনে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এ সময়সূচি বজায় রাখা খুবই জরুরি।প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমান। একজন পরিণত বয়সের মানুষের দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমের দরকার পড়ে। কিন্তু একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তবে শরীরের উপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে ছাত্র জীবনের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। যেমন পড়ায় মনোযোগ ক্ষুন্ন হয়, বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, খাবারে অরুচি ইত্যাদি ।
এখন আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করতে যাচ্ছি সেটা হলো নিয়মিত শরীরচর্চা নিয়মিত শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে কিভাবে আপনি নিজেকে নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন।
যদিও আমি আপনাদেরকে উপরে যেগুলো বললাম সেগুলো শরীরচর্চার একটি অংশ এছাড়াও আপনারা যদি চান জিমে গিয়ে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন।
পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ করুন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস গ্রহণ করুন। সুস্বাস্থ্যের মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে এটি একটি। মূলত সূর্যের আলোতে ভিটামিন-ডি ছাড়াও রয়েছে বিশেষ কিছু উপাদান।
এভাবে স্লিম থাকুন।
ধন্যবাদ