প্রিয় বন্ধুরা,
আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আপনাদের জানার কেন্দ্রবিন্দু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
বিষয়টি হলো, স্বাস্থ্য আপনি কিভাবে ভালো রাখতে পারেন।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঠিক উপায়ঃ
শরীর ভালো থাকবে যদি মন ফুরফুরে ও সতেজ থাকে।
কাজের স্পৃহা ও বাড়ে।
মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে। তাছাড়া সুস্থ-সুন্দর-স্লিম সবারই কাম্য।
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনই পারে কেবলমাত্র মন মেজাজ ঠিক রাখতে। এবং সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে।
এখানে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস দেওয়া হল,
যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি একটি ভাল স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে পারেন।চলুন জেনে নেওয়া যাক,
সুস্থ থাকার নিয়মাবলীঃ
১।
- খুব ভোরে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ৩০থেকে৪০ মিনিট হাঁটুন। মনে রাখবেন আর থেকে আর কোনো ভালো ব্যায়াম হয় না। এতে মন ও শরীর সতেজ থাকবে।
২।
- নিয়ম করে পরিমিত খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলুন। কম অথবা বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার যেমন শাকসবজি এবং ফলমূল খান। চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে আনুন। ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
৩।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ১০থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। দিনের শুরুতে লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম পানি পান করুন। খাবারের সময় বেশি পানি পান না করে খাবারের শেষে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পর পানি পান করবেন।
৪।
- লাল মাংস অর্থাৎ গরু-মহিষ, ছাগলের মাংস, মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান।
৫।
- শাকসবজি বেশি করে খাদ্য তালিকায় রাখুন। একেবারে বেশি করে খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খেতে পারেন। প্রত্যেকবারের খাবারে দুই রকমের সবজি এবং একটি ফল অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবে।
৬।
- খাবারের সময় কাঁচা সবজি সালাদ খাবেন। টাটকা সবজি খাবেন। তৎক্ষণাৎ রান্না করা খাবার খাবেন কখন খাবার খাবেন।
৭।
- খাবারের তালিকা থেকে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার , হালকা পানীয় আইসক্রিম বাদ দিয়ে দিয়েন।
৮।
- আপনার শরীরে অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। যাদের মেদ বা ভুঁড়ি জমেছে তারা নিয়মিত সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। অন্যান্য ব্যায়ামের পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
৯।
- অতিমাত্রায় চা ও কফির অভ্যাস ত্যাগ করুন। তার পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান। শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।
১০।
- রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। খাওয়ার পর কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরে শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১১।
- প্রতিদিন রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সুস্বাস্থ্য ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
- রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
- স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল কারন আপনার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই আপনার ভালো লাগবে না তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর।
বর্তমান সময়ে শরীরকে সুস্থ রাখার আরো কিছু উপায় বিশেষজ্ঞরা আবিষ্কার করেছেন।
তার মধ্যে একটি হল ঘরের মধ্যে পোষা প্রাণী পালন করা।
যেমন ধরুনঃ বিশ্বস্ত প্রাণী কুকুর বা বিড়াল এজাতীয় এইসব প্রাণী যদি আপনি পালন করেন যেমন ধরুন কুকুর কুকুরকে নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য হাঁটতে বের করতে হয় আর আপনি যখন আপনার পোষা কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হবেন তখন কুকুরের হাটার সাথে আপনার নিজের ব্যায়ামটাও হয়ে যাবে। আলাদা করে কোনো সময় নষ্ট হবে না এতে করে আপনার মধ্যে একটি মানসিক প্রশান্তি ও চলে আসবে।
দ্বিতীয় নাম্বার যে বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা এখন বলেছেন সেটি হল
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত মন খুলে হাসা।
কারণ এর মধ্য দিয়ে মানসিক প্রশান্তি যেমন আপনি পাবেন সাথে সাথে এই মানসিক প্রশান্তি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির অনেক বড় একটা কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
তাহলে বন্ধুরা উপরে যে সকল উপায়গুলো আমরা বললাম এগুলো যদি আপনারা নিয়মিতভাবে ফলো করেন তাহলে আপনাদের শারীরিক অনেক বড় উন্নতি হবে।
ধন্যবাদ