হাতের ত্বক ফর্সা করার উপায়

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,

আজ একটি চমৎকার বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। বিষয়টি হল কিভাবে আপনারা আপনাদের হাতের ত্বক ফর্সা করবেন।

অর্থাৎ

আমাদের মুখের ত্বকের সাথে হাতের ত্বক কিভাবে মানানসই করবেনঃ   

বন্ধুরা,

আমরা অনেক ধরনের প্রসাধনী মুখে ব্যবহার করে থাকি। যার কারণে আমাদের হাতের এবং মুখের ত্বকের মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেটা দেখতে অনেক বেমানান লাগে।

আবার প্রাকৃতিকভাবেই ও হাতের ত্বকের চেয়ে মুখের ত্বক ফর্সা বেশি দেখায় । হাতের ত্বক মুখের ত্বকের চেয়ে মলিন হওয়ার কারণে অনেকে হতাশা অনুভব করেন ।

তাই আমার এই বন্ধুদের জন্য আমি নিয়ে এসেছি এমন কতগুলো প্রসাধনী।

প্রাকৃতিক প্রসাধনীগুলো আপনারা ব্যবহার করলে আপনাদের মুখের ত্বকের মত আপনাদের হাতের ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।

তাহলে বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক, সেই প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া প্রসাধনী গুলো কি কি????

বন্ধুরা,

আপনারা কীভাবে এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে আপনার হাতের ত্বক ফর্সা করবেন এর বিস্তারিত ব্যবহার এখন আমি আপনাদের বলব।

বন্ধুরা এর জন্য আপনাদের যা প্রয়োজন হবে……

প্রথমে

আপনাকে একটি পাত্র নিতে হবে। ছোট একটি বাটিতে বাটিতে অল্প পরিমাণ চিনি দিতে হবে। তার মধ্যে  ২ চা-চামচ এর মত পানি দিতে হবে।অর্থাৎ পানির চেয়ে চিনির পরিমাণ টা যাতে বেশি থাকে। এরপরে প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া হলুদ অল্প পরিমাণ দেবেন। কাঁচা হলুদ হাতের কাছে না থাকলে আপনার হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। বাজারের প্যাকেটজাত গুঁড়ো হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল। এখন আপনারা এই তিনটি উপাদান একসাথে করে হালকাভাবে একটু মিক্স করে নিবেন।  বেশি মিক্স করবেন না যাতে পানিগুলোর সাথে চিনি গলে যায়।  যাতে চিনি গুলো একটুও দলা দলা বা হাতে লাগে এরকম অবস্থায় থাকে। তখন আপনি ওখান থেকে অল্প পরিমাণ নিয়ে আপনার দুই হাতে লাগাবেন এবং লাগানোর পর একটু একটু স্ক্রাপ করবেন অর্থাৎ ঘষে দেখবেন। এই ধরনের উপাদান গুলো যদি আপনি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করেন। এই ৩ দিনের মধ্যে যেকোনো সময় আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে দেখবেন মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আপনার হাতের রং কি পরিমান পরিবর্তিত হয়ে মুখের রং এর মত হয়ে গেছে।

এ উপাদানটি আপনার ত্বকে যে কাজটি করবে সেটি হলো আপনার ত্বকে রোদে পোড়া, অর্থাৎ কালচে ভাব  স্ক্রাব এর মাধ্যমে উঠে যাবে।

দ্বিতীয় উপকরণটি হলো,

এই উপকরণের জন্য আপনাকে যে সকল উপাদান গুলো হাতের কাছে রাখতে হবে সেগুলো হলো মশুরের ডালের গুঁড়ো।অর্থাৎ মশুরের ডালকে ভালোমতো ব্লান্ডার করে নিতে হবে। এরপর যে জিনিসটি আপনার হাতের কাছেই রাখতে হবে সেটি হল চালের গুঁড়ো।  এরপরের  উপাদানটি হলো মধু। শেষ উপাদানটি হলো পানি । এই চারটি উপাদান যদি আপনার হাতের কাছেই থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে একটি চমৎকার প্যাক তৈরি করতে পারবেন আপনার হাতের জন্য।

তাহলে বন্ধুরা,

এখন এই প্যাকটি কিভাবে তৈরি করবেন এবং ব্যবহার করবেন সেটি আমরা একটু জানাবো। আপনাকে প্রথমে একটি বাটি নিতে হবে। বাটির মধ্যে অল্প পরিমাণে ডাল এবং চালের গুঁড়ো ঢালতে হবে। পরিমাণ মত পানি এবং মধু দিয়ে মিশ্রনটি ভালো মত করে নিতে হবে।  মিশ্রণটি ভালোমতো করার জন্য আপনাকে মিশ্রনটিকে ১০ মিনিট মতো ছেড়ে দিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পরে আপনার মিশ্রণটি থেকে অল্প অল্প করে আপনার হাতে ত্বকে লাগাতে হবে।

বন্ধুরা,

আপনারা এটি গোসলের আগে লাগাতে পারেন। এইভাবে আপনারা যদি সপ্তাহে তিনদিন এই প্যাকটি আপনার হাতের ত্বকের উপর ব্যবহার করেন, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে চমৎকার একটি ফলাফল দেখতে পাবেন। অর্থাৎ নজরকাড়া একটি পরিবর্তন আপনার হাতের ত্বকে দেখতে পাবেন।

এখন আসা যাক তিন নাম্বার

সেই উপকরণগুলো যে উপকরণগুলি ব্যবহার করে আপনি সুন্দর আরেকটি প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারবেন। আপনার হাতের ত্বকের জন্য এই প্যাকটি ব্যবহার করতে আপনাকে যে উপকরণগুলো হাতের কাছে রাখতে হবে সেগুলো হলো কয়েকটি তরকারিতে  দেওয়া গোল আলু, মধু, পানি।

এ উপকরণ গুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি বাটি  নিতে হবে।  বাটিতে আপনার হাতের কাছে থাকা গোলআলু গুলোর চামড়া গুলো ফেলে দিয়ে গোল আলু গুলো থেকে রস গুলো আলাদা করে নিয়ে হবে। অর্থাৎ গোল আলু গুলো প্রথমে আপনি ব্লান্ড করবেন। পরে ওখান থেকে চিপে চিপে রস গুলো নিয়ে বাকি গুলো ফেলে দিবেন।  এখন আপনার হাতের কাছে থাকা বাটির মধ্যে এগুলো নিবেন, তার মধ্যে মধু মিক্স করে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আপনি একটি প্যাক তৈরি করে নেবেন। এই  মিশ্রণ টি  ভালো ভাবে পাওয়ার জন্য আপনাকে পাঁচটা মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। পাঁচ মিনিট পরে এই প্যাক টি আপনি আপনার দুই হাতের উপরে লাগাবেন। গোসলের আগে এটি অবশ্যই আপনি ব্যবহার করবেন।  গোসলের আগে আপনার দুই হাতে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

বন্ধুরা এই প্যাকটি  যদি আপনি সপ্তাহে মাত্র তিন দিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার হাতের ত্বকে  আমূল পরিবর্তন চলে আসবে। একটি কথা বলে রাখা ভাল প্রাকৃতিক যেকোনো উপাদান আমাদের মুখের জন্য অনেক ভালো,  তাই বন্ধুরা আপনারা চাইলে সপ্তাহে তিনবারের চেয়েও বেশি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে যেহেতু আমাদের এইসব উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয়ে ওঠে না তাই অন্ততপক্ষে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে হবে।