১৮ বছরের পর লম্বা ??? ১৮ বছরের পর লম্বা হতে চাইলে যা যা করতে হবে

১৮ বছরের পরে মানুষের উচ্চতা বাড়ে কিনা এবং বাড়াতে চাইলে সেটা কিভাবে সম্ভব সেটি হল আজকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাহলে বন্ধুরা প্রথমেই জেনে নিই ১৮ বছরের পরে আমাদের শারীরিক ও দৈহিক বৃদ্ধি হয় কিনা।

বন্ধুরা ১৮ বছর পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রে শারীরিক ও দৈহিক গঠন কিন্তু খুব দ্রুত হয়। অর্থাৎ আমাদের শরীরের বৃদ্ধি যে দুইটি ধাপ রয়েছে তার মধ্যে ১৮ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি কিন্তু খুব বেশি দ্রুত হয়।

এটি ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর। ১৬ বছর পর্যন্ত মেয়েদের দৈহিক উচ্চতা বৃদ্ধি খুব বেশি দ্রুত হয়। আর ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি ১৮ বছর পর্যন্ত। বন্ধুরা ১৮ বছরের পরে গিয়ে ছেলে এবং মেয়ে দুজনের শারীরিক ও দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত থাকে।

কিন্তু সেটি হল মেয়েদের ক্ষেত্রে ২২ বছর পর্যন্ত চলতে থাকে আর ছেলেদের ২৫ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি কোন ছেলে ২৫  বছর পর্যন্ত তার উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। আর মেয়ের ক্ষেত্রে ২২ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা থাকে।

তাহলে এখন আমরা একটা বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারলাম যে আঠারো বছর পরে গিয়ে আমাদের দৈহিক উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটতে পারে।  বন্ধুরা, এখন আপনাদেরকে বলে রাখা ভাল,

কিভাবে আমরা ১৮ বছরের পরে গিয়ে এই বৃদ্ধিকে আরো বেশি সচল রাখতে পারি।

আমাদের উচ্চতা বৃদ্ধির পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে

প্রথমে সকল কারণগুলো আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারপর এই সকল কারণের উপস্থিতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আছে কি না, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যদি প্রত্যেকটি কারণ আমরা সফল ভাবে আমাদের জীবনে উপস্থিত রাখতে পারি, তাহলে উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়ে আর কোন চিন্তা করার দরকার নেই।

এখন আমরা জানবো একটি মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির পেছনে কি কি কারণ রয়েছে……

  • জেনেটিক কারন।
  • খাবার খাওয়া।
  • ঘুম।
  • ব্যায়াম।

জেনেটিক কারনঃ

  • জেনেটিক অর্থাৎ আপনার পিতা-মাতার দৌহিত্র তার বৈশিষ্ট্য ও সন্তানের উপর ফেলবে। অর্থাৎ বংশের মধ্যে যদি আপনার লম্বা মানুষ বা উচ্চতার মানুষ না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার সকল ধরনের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ উপস্থিত থাকার পরেও আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি না হবার সম্ভাবনা থাকে।
  • কিন্তু ৮০% এই কারণটিই অর্থাৎ জেনেটিক্স কারণ প্রত্যেকটি মানুষের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব রাখে। সেটা আমরা চোখ বন্ধ করে বলতে পারি।
  • যদি পিতা-মাতার উচ্চতা লম্বা হয় সন্তান সন্তানের উচ্চতা লম্বা হয়। কারণ পিতা-মাতার জেনেটিক্স প্রভাব সন্তানের উপর ৮০% বর্তায়।
  • বাকি যে তিনটি কারণ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে খাবার-দাবার ও ব্যায়াম। তারা চাইলে দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা হতে পারে স্বাভাবিকের চেয়ে।
  • কিন্তু জেনেটিক্স প্রভাব কোন ভাবে কোন মেডিসিন দিয়ে দূর করা যাবে না।

ঘুমঃ

  • বন্ধুরা আমাদের ঘুমের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ঘুমের সময় আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে।

খাবারদাবার

  • আমাদের খাবার দাবারে এমন সকল বিষয় রাখতে হবে যা আমাদের দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • এই ক্ষেত্রে খাবারের কিছু উপাদান কিন্তু সরাসরি প্রভাব রাখে। যেমন ক্যালসিয়াম।
  • খাবারে এ ধরনের উপকরণ গুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করবো।
  • পাশাপাশি সকালবেলায় আমরা কিছুক্ষণ রোদে বসবো যাতে সূর্যের রশ্মি থেকে সরাসরি ভিটামিন-ডি আমরা নিতে পারি।
  • আমরা যে সকল খাবার স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করি তাতে ভিটামিনের পরিমাণ খুব কম থাকে। যা আমরা সরাসরি সূর্যের আলোতে পেয়ে থাকি।
  • তাই আমাদের উচিত খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে সূর্যের আলো গায়ে মাখাতে, ভিটামিন-ডি আমরা নিশ্চিত করতে পারি। পাশাপাশি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার আমাদের খেতে হবে। কারণ ক্যালসিয়াম শরীরে হাড় গঠনে অনেক বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • এর পাশাপাশি শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন যুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • ব্যায়াম
  • আমরা যা খাবার খায় না কেন আমাদের যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকে তাহলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালোমতো হবে না।
  • এছাড়া আমাদের দৈহিক বৃদ্ধিতে সমস্যা হবে।
  • আমরা নিয়মিত ব্যায়াম করলে যে খাবার আমরা খাই তা সহজে হজম হয়, পাশাপাশি নতুন রক্ত উৎপাদন হয় খুব বেশি।
  • শরীরের মধ্যে রক্ত উৎপাদন বেশি হয়।
  • তাই আমাদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করে আমাদের উচ্চতা বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা।

বন্ধুরা উপরের সকল কারণগুলো বর্ণনা এসব কারণ যদি সঠিক মাত্রায় আপনার মধ্যে উপস্থিত থাকে এবং জেনেটিক্স বিষয়টি যদি আপনার ফেভারে না থাকে তাহলে আপনার চিন্তার কোন কারণ নেই। নিশ্চিন্তে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে যা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।