স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি বলে বিবেচিত হয়। একজন বিবাহিত দম্পতির জীবন ধারা কতটুকু সুন্দর বা কতটুকু আন্দদের তা কিন্তু তাদের এক সাথে রাত্রী যাপন বা রাতে একসাতে ঘুমানোর উপর অনেকাংশে দায়ী। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক কেমন, তা বোঝা যায় ঘুমানোর ধরন দেখে। পরস্পরের থেকে কতটা দূরে তাঁরা ঘুমাচ্ছেন, তা দেখে বোঝা যেতে পারে, পরের দিনটা কেমন যাবে। এছাড়া ঘুমানোর ধরন দেখে আরও জানা যায় যে তাদের বিবাহিত জীবন কি পরিমান সাচ্ছন্দে কাটছে। বা তাদের বৈবাহিক জীবনে তারা কতটুকু সুখী এটাও কিন্তু তাদের এক সাথে ঘুমানোর উপর অনেক খানি নির্ভর করে।
যে যুগল দম্পতি বেশি বেশি রাতের ভেলা এক সাথে ঘুমায় তাদের দাম্পত্ত জীবন ততই ভালো। আধুনিক গবেষণায় কিন্তু তাই প্রমান করতে পেরেছে। তাছাড়া যেসকল বিবাহিত দম্পত্তি রাতের ঘুম এক সাথে ঘুমায় কম তাদের দামপত্ত জীবন কিন্তু খুব বেশি ভালো কাটে না। এটাও গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে। তাই আমরা বলতে পারি দামপত্ত জীবন ভালো রাখতে হলে স্বামী-স্ত্রীর বেশি বেশি রাতের ঘুম একসাথে থাকতে হবে। ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হালের এক সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে।
মাশরুমের স্বাস্থ উপকারীতা গুলো কি কি ?
এই সমীক্ষা থেকে উঠে আসা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা:
- বেশির ভাগ দম্পতি রাতে মুখোমুখি শুতে পছন্দ করেন না। তাতে পরস্পরের গরম নিঃশ্বাস গায়ে পড়ে বলে, তাঁরা দু’জনেই একই দিকে মুখ করে শুতে বা পরস্পরের উল্টো দিকে মুখ করে শুতে বেশি পছন্দ করেন।
- সমীক্ষা বলছে, যে যুগল পরস্পরের ১-২ ইঞ্চির মধ্যে ঘুমান, তাঁরা নিজেদের নিয়ে সব চেয়ে বেশি খুশি। যাঁরা ৩০ ইঞ্চি বা তার বেশি দূরত্ব রেখে ঘুমান, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই দাম্পত্য সুখের নয়।
- কোনও কোনও দম্পতি ঘুমের শুরুতে পরস্পরকে ছুঁয়ে শুতে পছন্দ করেন। এই ধরনের ধরনের দম্পতিদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খুশি। আর যাঁরা ঘুমের শুরুতে পরস্পরকে ছুঁয়ে শুতে যান না, তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নাকি সম্পর্ক নিয়ে খুশি।
- রাতে ঘুম ভাল না হওয়ার সঙ্গে দিনের শুরুও সম্পর্ক রয়েছে। সমীক্ষা বলছে, যে সব রাতে মহিলাদের ভাল ঘুম হয় না, তার পরের সকালে তাঁদের মেজাজ বিগড়ে থাকে। সকালটা শুরু হয় মনখারাপ নিয়ে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও রাতে ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হয়। কিন্তু তার প্রভাব দিনের শুরুতে না পড়ে, অন্য সময় বেশি মাত্রায় পড়ে।
সূত্রঃ আ.বা.প